Description
স্বাস্থ্যবিধি থেকে লাল চিনি কেন কিনবেন?
ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেশ বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী হাতে তৈরী লাল পাউডার চিনি। হাতে তৈরি এ লাল চিনি দিয়ে বানানো পিঠা, পায়েস, নাড়ু, মোয়া, ক্ষীর খেতে ভারি সুস্বাদু। শতভাগ বিশুদ্ধ ও নির্ভেজাল। স্বাস্থ্যবিধি সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে এ চিনি সংগ্রহ করে।
চিনি তৈরির প্রক্রিয়া –
লাল পাউডার চিনি তৈরির এক মাত্র কাঁচামাল আখ। আখের রস আগুনে জাল দিয়ে লাল চিনি তৈরি করা হয়। পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে একটানা ফাল্গুন মাস পর্যন্ত আঁখ মাড়াই ও লাল চিনি তৈরির কাজ চলে। প্রথমে লোহার চাপ যন্ত্রের সাহায্যে বিদ্যুৎ চালিত মটর সংযোগ দিয়ে আবার কেউ কেউ গরু-মহিষ দ্বারা ঘানি টেনে আঁখ মাড়াইয়ের মাধ্যমে রস বের করেন।
চুলায় লোহার বড় কড়াইয়ে পরিমান মতো কাঁচা আঁখের রস নিয়ে জ্বাল দিতে হয়। এক পর্যায়ে ঘন গরম রস চুল্লী থেকে নামিয়ে কারিগর কাঠের তৈরী হাতল দিয়ে দ্রুত ঘর্ষন শুরু করে। আস্তে আস্তে ঠান্ডা হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে ঘন রস মিহি লাল দানায় রূপ নেয়। হাতে তৈরী এই লাল চিনি রোদ্রে শুকিয়ে বাজারজাত করা হয়।
হাতে তৈরি লাল পাউডার চিনি কেন সেরা?
তুলনামূলকভাবে, লাল পাউডার চিনি সব দিক বিবেচনায় সাদা চিনি অপেক্ষা স্বাস্থ্যকর। কেননা সাদা চিনি প্রস্তুত করার সময় সকল পুষ্টি উপাদান সরিয়ে শুধুমাত্র কার্বোহাইড্রেট রাখা হয়। তাছারাও অন্যান্য রাসায়নিক মেশানো হয় ঝকঝকে দেখার জন্য। যা দেহে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই সাদা চিনি অস্বাস্থ্যকর। এছাড়াও, লাল পাউডার চিনিতে আখের প্রাকৃতিক ফ্লেভার থাকে। যা খাবারকে আরও সুস্বাদু করে তোলে।
Reviews
There are no reviews yet.